মোঃ মাহমুদুল হাবিব রিপন
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য গাইবান্ধা জেলায় এবার ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১টি পশু মজুদ আছে। যা কোরবানির চাহিদার থেকে ২২ হাজার ৩৩০ টি বেশি। ফলে কোরবানির পশু নিয়ে কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে,আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে, গরু ৬৩ হাজার ২৪৬ টি, মহিষ ১৫৭ টি, ছাগল ৭১ হাজার ৮০০ টি ,ভেরা ১ হাজার ১৮৮ মজুদ রয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা তরুণ কুমার দত্ত জানান, এবার সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৩৫০টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ষাড় গরু ৭ হাজার ২১০টি, বলদ ৪১৫টি, গাভী ৫৩৩০টি, মহিষ ২৫টি, ছাগল ১০ হাজার ৮৫০টি, ভেড়া ১৫২০টি।
যেহেতু তাপদাহ চলমান রয়েছে এই প্রচন্ড- গরমে এসব পশুদের হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে, সেজন্য আমরা সেবা দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছি এবং সেসব চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি খামারিদের সতর্ক করেছেন তারা যেন কোনো পশুকে মোটাতাজা করার জন্য স্ট্রয়েড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ না করে।
এদিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্ৰামের খামারি জুলফিকার বলেন গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন , বেশি দামে খাদ্য খাওয়ায়ে বাজারে পশুর ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন ।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহফুজার রহমান তিনি বলেন,এবার জেলার ৭টি উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৫১টি।
আমরা সুন্দরভাবে ঈদ উল আযহা উদযাপন করতে চাই, ঈদ-উল-আযহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায়।সে লক্ষ্যে এখন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,
খামারি , কৃষক ও উদ্যোক্তারা সম্মিলিতভাবে কাজ করায় প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ খাতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
খামারিরা যাতে ভালো দাম পায়, সে বিষয়ে তাদের সর্বাত্নক চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পশুর স্বাস্থ্যের পরীক্ষার-নিরীক্ষার জন্য আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তÍত রয়েছে।
গাইবান্ধা জেলায় ৪১ টি হাটে ২১ জন পশু ডাক্তার রয়েছে ।
তারা জেলার বিভিন্ন এলাকায় হাট গুলোতে স্বাস্থ্যের পরীক্ষার-নিরীক্ষা করবে।
তিনি আরো বলেন, কোরবানির জন্য রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
Leave a Reply