মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়া ছাত্রীর মা আজ দুপুরে বলেন, এ ঘটনায় আজ দুপুর ১২টার দিকে কলেজ প্রশাসন তাঁর মেয়ে ও অন্য এক ছাত্রীকে ডেকে ঘটনা সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য নেয়। প্রশাসন তাঁর মেয়েকে মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে পাঠায়। ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, নির্যাতনের শিকার দুই ছাত্রীকে কলেজ প্রশাসন থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, “‘তোমরা চিকিৎসা চাও, নাকি বিচার চাও? যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে তোমাদের। বিচার চাইলে তোমাদের শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।” আমরা বলেছি, আমরা দুটোই চাই। নির্যাতনকারী ছাত্রীদের পক্ষে যায়, এমন প্রস্তাব কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।’ নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখন আমার মেয়েকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণ করার চেষ্টা করছে তারা। কলেজ প্রশাসন যখন দুই ছাত্রীর বক্তব্য নিচ্ছিল, নির্যাতনকারীরা তখন বাইরে অবস্থান নিয়ে হাসাহাসি করছিল। কলেজ প্রশাসনের এমন আচরণে আমরা হতাশ হয়েছি। মেয়ের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন।’ অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের নেত্রী পরিচয় দেওয়া ফাহমিদা রওশন ও নীলিমা হোসেনের বক্তব্য জানতে তাঁদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে চেষ্টা করা হলে নীলিমা হোসেনের ফোনটি রিসিভ করেন তাঁর এক সহপাঠী। তিনি বলেন, ‘নীলিমা ব্যস্ত আছে, পরে আপনার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেব।’ এরপর পুনরায় দুজনের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা দিলেও তাঁরা সাড়া দেননি।
Leave a Reply