বিশেষ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া থানার দুর্গানগর ইউনিয়নের,ভাটবেড়া বঙ্গবন্ধু ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সকল শহীদ ও আহত দের স্মরণে বলেন।
সেদিনের বাস্তব চিত্রটি যদি আমি আমার চোখে না দেখতাম তাহলে আজ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের জবাব দিতে ব্যর্থ হতাম।
আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি,পিতা এবং চাচাদের মুখে তাদের সম্মুখ যুদ্ধে জয়ের গল্প শুনে আবেগ প্রবন হয়ে উঠতাম।আমি১৫ ই আগস্টের কাল রাত্রিতে পাকিস্তানি পেতআত্মাদের রক্ত হোলি খেলা দেখেনি, কিন্তু আমি দেখেছি কি ভাবে ২১ আগস্টে ওই হায়েনার দলেরা রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছিল। কিভাবে মানুষের মাংসগুলোর রাস্তায় পরে ছটফট করে ছিল। পায়ের জুতোগুলো রক্ত স্রোতে ভেসে যেন বঙ্গোপসাগরে ভাস ছিল। কিভাবে মানুষগুলো বাঁচার জন্য আকুতি করছিল,আর বলেছিল আমাদের নেত্রীকে বাঁচাও!
কিন্তু ওই হায়ানের দলেরা, যেন আহত মানুষগুলো হাসপাতালে চিকিৎসা না নিতে পারে এই ব্যবস্থা করেছিল তত্ত্বকালীন বিএনপির জামাত জোড় সরকার।আজ তারা মানবতার সবক শিখায়।
আজ হয়তো এই লেখাটি লিখতে পারতাম না,কারণ সেদিন যদি কাকতালিওভাবে আমার প্রিয় নেতা পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সর্ব অধিনায়ক আলহাজ্ব লতি মির্জা এমপি সাহেব, যদি জড়ুয়াতের জন্য পার্টি অফিসের উত্তর পাশে হোটেলে না যেতে,তাহলে হয়তো আমাদেরকেও এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হতো। সেদিন জনসভা চলাকালীন অবস্থায় মঞ্চের পাশেই চেয়ারে বসা ছিলেন লতিফ মির্জা সাহেব,তার থেকে একটু দূরে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম।মির্জা সাহেব হঠাৎ চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে বলল,চলো একটু ওয়াশরুমে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের দক্ষিণ পাশে বায়তুল মোকাররমের গেটের অপজিটে হোটেলটি তিনি প্রায় সময় এখানে খাওয়া-দাওয়া করতেন।বিএনপি জামাত জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রায় সময় যখন পল্টন অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এবং ভাসানী স্টেডিয়ামের মাঝখানে যখন জনসভা হত মির্জা সাহেব ঢাকাতে তখন তিনি প্রায় সময় এই হোটেলটিতেই খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতেন। ওয়াসিম থেকে বেরিয়ে লতিফ মির্জা বলল চলো কিছু হালকা খেয়ে নেই।ওয়েটারকে বললেন খাবার দেওয়ার জন্য এরপর হোটেলের ওয়েটার ভাই কিছুক্ষণ পর আমাদের জন্য রুটি আর মাংস নিয়ে আসেন।লতিফ মির্জা সেই রুটি থেকে হয়তো দুই বা এক টুকরা মুখে দিয়েছেন।এরই মাঝেই আমাদের বসারস্থানের হোটেলের যে দরজা কাঁচের ছিল সেটা যেন ঝমঝম করে কাঁপছে, এবং চারিদিকে শুধু বিকট শব্দ হচ্ছে। মির্জা সাহেব হোটেল থেকে বেরিয়ে দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ পার্টি অফিসের দিকে ছুটে থাকেন।আমরা যখন দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিলাম ঠিক ওই দিকের মানুষ আমাদের দিকে ছুটে আসছে,আমরা যখন পার্টি অফিসের ওখানে যাই,চোখ যেন কপাল উঠে পড়ে মানুষের তাজা রক্ত স্রোত ফুট রাস্তার পাশে সেখান দিয়ে গড়িয়ে আসছে।আর পায়ের জুতোগুলো ড্রেনের মাঝে থাকা রক্তে ভাসছে।আর মানুষের রক্ত মাংসপেশিগুলো ছিন্ন বিচ্ছিন্ন চতুর্দিকে ছরিয়ে সিটে আছে।পুরো বঙ্গবন্ধু এভিনিউ একটি রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে। মির্জা সাহেব আমার হাতটি থাপা দিয়ে ধরে বললেন,তুই দ্রুত এখান থেকে চলে যা,আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কি করবেন,উনি বললেন আমার জন্য তোর ভাবতে হবে না,তুই তাড়াতাড়ি তোর বাসার দিকে চলে যাও।আমি আমার গন্তব্যস্থানে বাসের জন্য ছুটতে থাকলাম। গুলিস্তানের বর্তমান আসাদ বক্সের দিকে, কিন্তু ওখানে কোন বাসই নেই। সবাই শুধু দৌড়ে পালাচ্ছে আমিও তাদের সাথে দৌড়াতে দৌড়াতে প্রাইস সায়দাবাদের ওখানে চলে আসলাম।ওখান থেকে গাড়িতে উঠে আমি কোন মত নারায়ণগঞ্জে চলে আসলাম।প্রতি বছরে এই দিনটি যেন আমার কাছে একটি বিদেশীখাময় একটি দিন।তাই এই দিনটিতে ঘিন্নার সাথে স্মরণ করি জামাত বিএনপি’র চার দলীয় জোটের জালেম হায়েনা সরকারকে।আগামী নতুন প্রজন্মকে বলে যাই একটি কথা ওরা ৭১রে ইসলামের দোহাই দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার দের হাতে তুলে দিতো মা বোনদের ইজ্জত। তাদেরই কিছু পেতাত্মা এখনো বাংলার বুকে মিথ্যে কথা বলে পোপাকান্ড ছড়ায়। তাইতো তারা তাদের ভবিষ্যৎ উত্তরসূরী নারী লোভী দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন তারেক জিয়ার কন্ঠে কন্ঠে মিলে বলে take back Bangladesh.
নতুন প্রজন্ম কি আবার সেই পিছনে চলে যেতে চায়।আবার কি তারা চায় এই বাংলাকে একটি পরাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি কখনোই এ বাংলাকে পিছের দিকে আর যেতে দেবে না।
শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply