নারায়গন্জ প্রতিনিধি: ঈদের ছুটি হতে না হতেই আবারও শুরু হয়েছে অপ-সাংবাদিকতা এবং পুলিশের টিএসআইদের স্টিকার বানিজ্য। আগের তুলনায় মিশুক বা অটো কম কারন অনেকেই গিয়েছে গ্রামে ঈদ করতে, ফেরা হয়নি এখনো। এর মাঝে আবার অপ-সাংবাদিকের গাড়িতে ভরা শহরের রাস্তায়। তাহলে টিএসআইরা কি করবে? কিভাবে করবে দৈনিক হাজার হাজার টাকার ব্যবসা? তাই চেকপোস্ট গুলো অবস্থান নিয়েছে মালুরমাঠ,হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, দিগুবাবুর বাজারের ভিতরে।সেখানে খুবই কষ্ট করে গিয়ে পায়ে হেটে অটো / মিশুক ধরে নিয়ে আসে টিএসআইদের পালিত সন্ত্রাসী সোর্সরা।
ফারুক(অটোরিকশা চালক) খুবি ভয়ে যাত্রী নিয়ে বলে নামতে হবে বালুর মাঠ যাওয়ার আগেই, গতকালই নাকি সে গুনেছে ১ হাজার টাকা। শহর তো দূরের কথা গাড়ি নিয়ে গিয়েছে তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে থেকে। গরীব মানুষ তাই আর সেদিকে যাবে না বলে যাত্রী না নিয়েই চলে গেলো। মুক্ত খবরের এক প্রতিনিধির সাথে কথা হতে হতে এক পর্যায়ে বলে উঠে, এসব টিএসআইদের লজ্জা নাই,তারা গত জানুয়ারী মাসে কতো গুলো টাকা জরিমানা দিলো তার পরেও লজ্জা হয় না। এবার একটু নড়ে চরে বসে ভালো ভাবে জিগেস করা হলো তাকে, হয়েছে কি? সে বললো জানুয়ারীর মাঝা মাঝিতে টিএসআই শফিক তার সোর্স নজরুলের হাত দিয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে। তার ১৫দিন না যেতেই টিএসআই শহিদুল ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছে নতুন বড় অটো হারিয়েছে। আসলে এই অটোগুলো যায় কই? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যায় কই মানে এগুলো ওরা ওদের সোর্স দিয়ে বিক্রি করে ফেলে। ভাবে গরীব মানুষ পুলিশের ভয়ে চুপসে যাবে। পরে যখন সামলাতে পারে না তখনি জরিমানা দেয়। আর তারা বিক্রি করে ভালো টাকায় বাট ডেমারেজ দেয় অর্ধেক। কথোপকথনে একজন বলে উঠে আমার জানা মতে শহিদুল পুলিশটা ভালো, মুক্ত খবর প্রতিনিধি বলে জী ভালোই তো চুরি করে গাড়ি বিক্রি করে, আবার ধরা খেয়ে জরিমানা দেয় তাহলে ভালো না? বর্তমানে শুধু দিপু, মামুনসহ বড় বড় সাংবাদিকদের গাড়ি শান্তি মত রাস্তায় চলে, কারন এই গাড়ির দুই ভাগ যায় উপর মহলে, আর বাকি দুই ভাগ সাংবাদিকের। না হলে সবার গাড়ি ধরে শুধু দিপুর গাড়ি দিনে ১০ টা ধরলেও কোনো বিল নাই, যদিও দেয় তাও ১০ টার জায়গায় ২ টার হাফ বিল। এগুলো কি আমরা বুঝি না? ওপর থেকে কারা বলে তাদের খোজে আমরা
Leave a Reply