৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে বাংলা জাতীয় পত্রিকার প্রচার সংখ্যায় ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য বাজারে আসেনি এমন পত্রিকাও রাতারাতি প্রচার সংখ্যা ৭০ থেকে ৮০ হাজার বৃদ্ধি করা হয়েছে। আবার নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে এমন পত্রিকা ৫০-৬০হাজার কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার কারো কারো মাত্র ৫০০, ১০০০, ২০০০ কপি কমানো হয়েছে, এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ২০ থেকে ৩০টি পত্রিকার মালিক ও সংবাদকর্মীরা। একটি জাতীয় পত্রিকায় সারাদেশে প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি ও প্রধান কার্যালয় মিলে এক হাজার সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকে, এতে করে ২০ থেকে ৩০টি পত্রিকার প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসবে। যাদের আয় রোজগারের আর কোন রাস্তা থাকবে না। অচল করে দেয়া হয়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি পত্রিকা। উল্লেখ্য যে, গত ২মাস আগেও ইংরেজি পত্রিকার মূল্যে এমন পরিবর্তন করা হয়েছিল,
তবে সেখানে পরিবর্তন ছিল নিয়মতান্ত্রিক এবং শৃঙ্খলার মধ্যে, সেখানে পত্রিকার সিরিয়াল ঠিক রেখে সবাইকে সমানভাবে কমানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলা পত্রিকার ক্ষেত্রে কারো কারো বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং কারো কারো কমিয়ে দেয়া হয়েছে আবার কারো অপরিবর্তিত রয়েছে সেই ক্ষেত্রে কোন নিয়ম-নীতি মানা হয়নি যা রাতের আঁধারে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করে দেয়া হবে এই ভয়ে-আতঙ্কে কেউ মুখ খুলছে না। ক্ষতিগ্রস্থ সংবাদপত্র মালিকরা হতাশ হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। তাদের দাবি সঠিকভাবে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে পত্রিকার প্রচার সংখ্যা নির্ণয় করে সঠিক প্রচার সংখ্যা প্রকাশ করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় ও ডিএফপি’র প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এবং এই পরিবর্তনের আগে যে বিজ্ঞাপন মূল্য ছিল সেটা রাখার জন্য বলেছেন। কারণ যেভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক বলে অভিহিত করেছেন সংবাদপত্র মালিকরা। যেকোনো পত্রিকার প্রচার সংখ্যা কম বেশি করা হলে আগে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হয়। প্রত্যয়নপত্র প্রদানের ১ থেকে ৩মাসের মধ্যে মূল্য তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কোন প্রত্যয়নপত্র কাউকে দেয়া হয়নি, হঠাৎ করেই মূল্য তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। যা স্বাধীনতার পর এই প্রথম ঘটেছে, বলেছেন সংবাদপত্র মালিকরা।
ডিএফপি’র ১ নম্বর সিরিয়াল থেকে শুরু করে ৪০নম্বর সিরিয়াল পর্যন্ত পত্রিকাগুলো কোন নীতিমালার উপর ভিত্তি করে প্রচার সংখ্যা কম-বেশি করা হয়েছে তা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র মালিকরা। কোন পত্রিকা অফিসে পরিদর্শনে যায়নি ইন্সপেক্টররা, ৪০০টি পত্রিকা ইনস্পেকশন করতে হলে নূন্যতম ৬ মাস সময় লাগে। সেই ক্ষেত্রে কোন পত্রিকা অফিস পরিদর্শন না করে অফিসে বসেই রিপোর্ট তৈরি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ টাকা কেজি কাগজ বর্তমান ১২০ টাকা কেজি মূল্য হয়েছে, এই সময় পত্রিকার সার্কুলেশন ৭০-৮০ হাজার বাড়ানো হয়েছে এটা কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন। অবিলম্বে এই অনৈতিকভাবে প্রচার সংখ্যা কম বেশি করার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পত্রিকার সাবেক মূল্য বহাল রেখে আচমকা প্রদান করা মূল্য স্থগিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সঠিক প্রচার সংখ্যা নির্ণয় করে তা ডিএফপি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন বিভিন্ন পত্রিকার মালিকরা। সঠিক প্রচার সংখ্যা নিরূপন না হওয়া পর্যন্ত গত ০৮/০৯/২০২২ ইং তারিখে ধার্য্যকৃত বর্তমান বিজ্ঞাপন মূল্য স্থগিত রাখলে ন্যায়-বিচার পাবে ক্ষতিগ্রস্থ সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র মালিকরা।
Leave a Reply